কৃষি ও উৎপাদনশীল খাতের বাধা অপসারণের তাগিদ
কৃষি ও উৎপাদনশীল খাতের সব বাধা দূর করার তাগিদ জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। সংগঠনটি গতকাল চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে এ তাগিদ দেয়।
এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনায় বলা হয়, দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর স্থিতিশীল উন্নতি থেকে প্রতীয়মান হয়, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইতিবাচক ছিল। এ সময় প্রবৃদ্ধি দৃঢ় ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। পাশাপাশি বিনিময়মূল্য দৃঢ় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে সহনীয় পর্যায়ে অবস্থান করেছে।
জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কৃষি খাত ভালো করেছে। তবে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় সরকারি জোগান ও অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে হবে। অবকাঠামো ঘাটতি, গ্যাস ও বিদ্যুত্ সরবরাহ সমস্যা দেশের উৎপাদনশীল খাতের কর্মদক্ষতাকে দমিয়ে রাখছে। সরকারের উচিত হবে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও ধরে রাখতে হবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও অধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারের এগিয়ে আসা দরকার।
পর্যালোচনায় বলা হয়, অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে উন্নতি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্ভাবনার চেয়ে অগ্রগতি কম হলেও গত প্রান্তিকে দেশে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি, স্থিতিশীল মুদ্রা বিনিময় হার ও সহনীয় বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ দেখা গেছে।
এমসিসিআই তাদের পর্যালোচনায় গত প্রান্তিকে দেশের কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, বিদ্যুত্, সেবা, পুঁজিবাজার, সরকারি অর্থায়ন, আমদানি-রফতানি, রেমিট্যান্স, বিদেশী অনুদান, বিদেশী বিনিয়োগ, ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট, মুদ্রা বিনিময় হার ও রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে।
বিদ্যুত্ খাত প্রসঙ্গে এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুত্ খাতের সংকট মোকাবেলায় সরকারের সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে টেকসই বিদ্যুত্ ও জ্বালানি সরবরাহের কোনো সমাধান হয়নি। আলোচ্য প্রান্তিকে বিদ্যুত্ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু গ্যাস সংকট ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিদ্যুেকন্দ্র বন্ধ থাকায় বিদ্যুত্ উৎপাদন কমেছে।
কৃষি খাত নিয়ে পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশের মোট জনশক্তির ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের কর্মসংস্থান হয় এ খাতে, যা জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কৃষি উৎপাদন তথ্য এখনো হালনাগাদ হয়নি। কারণ আমন, আউশ ও বোরো শস্য এখনো বাজারে আসেনি। চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে কৃষি খাতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।