টেরেসার ভোট প্রস্তাবে সম্মতি
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র ৮ জুন সাধারণ নির্বাচন করার প্রস্তাব বুধবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অনুমোদন পেয়েছে। ভোট এগোনোর জন্য টেরেসার যুক্তি ছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া (ব্রেক্সিট) মসৃণ করতে পার্লামেন্টে শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান আরও মজবুত করা প্রয়োজন।
পার্লামেন্টে এ দিন ৬৫০ এমপি-র মধ্যে ৫২২ জন ভোট-প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিয়েছেন। বিপক্ষে মাত্র ১৩ জন। পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সে নামমাত্র গরিষ্ঠতা রয়েছে টেরেসার ঝুলিতে। কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে সরকার যে ভাবে এগোতে চাইছে, তাতে জনমানসে ক্রমশ টেরেসার কনজারভেটিভ পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। দেশের সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা তেমনটাই দাবি করছে। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সমীক্ষা বলছে, জুনে বিপুল ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারেন টেরেসা। গত কয়েক দশকে সব চেয়ে কোণঠাসা অবস্থা হতে পারে লেবার পার্টির। জনপ্রিয়তার নিরিখে কনজারভেটিভরা যেখানে ৪৪ শতাংশ ভোট পাচ্ছে, লেবার পার্টি মাত্র ২৩ শতাংশেই আটকে যাচ্ছে। এক প্রথম সারির পত্রিকা জানায়, যে পার্লামেন্টে কনজারভেটিভদের এখন নামমাত্র গরিষ্ঠতা, তারা এ বার অন্তত ৩৮২টি আসন পেতে পারে আর লেবার পাবে ১৭৯টি আসন। যার ফলে ১১৪ আসনে এগিয়ে থাকবে শাসক দল।
আগামী মাসগুলোয় ইউরোপের তিনটি শক্তিশালী দেশই ভোটের মুখে— ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স। গোটা ইউরোপে তাই জোর অনিশ্চয়তার বাতাবরণ। তা ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোট করতে গিয়ে ব্রেক্সিট আলোচনায় আবার কিছুটা দেরি হয়ে যাবে। কারণ ইউরোপীয় কমিশন এবং টেরেসা দু’জনেই বলেছেন, ব্রেক্সিট মীমাংসা হবে ভোট শেষ হওয়ার পরে। এর মধ্যে আবার টেরেসা টেলিভিশন বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন না বলায় তৈরি হয়েছে আর এক প্রস্ত বিতর্ক। হাউস অব কমন্সে আজ বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘‘উনি ওঁর ভোট-রেকর্ড নিয়ে এত গর্বিত যখন, টিভি বিতর্কে আসবেন না কেন?’’ আগামী ৩ মে ভেঙে দেওয়া হবে পার্লামেন্ট। এর পরে ব্রিটিশ রাজনীতি কোন পথে এগোয় তা জানতে আগ্রহী বিশ্ব।