img

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে খেয়া ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুই শিশুসহ আরও আটজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।  উদ্ধার কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে উদ্ধার অভিযানের ৩য় দিন পানগুছি নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, দু’টি শিশু ও একজন নারী।

বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া আটজন হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আলম চাপরাশির স্ত্রী মোসাম্মৎ সালমা বেগম (৩০), তার আঠোরো মাস বয়সী ছেলে মো. সাজ্জাদ, একই উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের প্রয়াত কাসেম শেখের ছেলে মো. আব্দুল মজিদ শেখ (৭৫), বুরুজবাড়িয়া গ্রামের গফফার হাওলাদারের ছেলে আনছার হাওলাদার (৫০), আলতি বুরুজবাড়িয়া গ্রামের মো. সুলতান হাওলাদার (৫৫), হোগলাবুনিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), নাসির শেখের ছেলে মো. নাজমুল (৬) এবং শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা সামসুল হুদার ছেলে স্থানীয় রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আবির আল শামস্ (১৫)।

এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার ফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে বিউটি বেগম (৩৮), নাদেরা বেগম (২০), সিয়ার বানুর (৫০) এবং রিমা বেগম (২৩) নামের চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলার ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে প্রায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে মোড়েলগঞ্জ পুরাতন থানার ঘাটে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। 

এই বিভাগের আরও খবর